মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ - ১০:০৩
আদবের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

আদব হলো ঈমান ও আখলাকের বহিঃপ্রকাশ, যা ব্যক্তিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জাওয়াদ (আ.) বলেন,
بِالاْدَبِ یَبْلُغُ الرَّجُلُ مَكارِمَ الاْخْلاقِ فِی الدُّنْیا وَالاْخِرَةِ، وَیَصِلُ بِهِ اِلَی الْجَنَّةِ

আদব-শিষ্টাচার ও সদাচরণ দ্বারা মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম চরিত্রের উচ্চ স্তরে পৌঁছায় এবং এর মাধ্যমেই সে জান্নাত লাভ করে।

[আরশাদুল কুলুব, পৃষ্ঠা- ১৬০]

প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা: এই হাদিসে আদব বা শিষ্টাচার-কে ইহকালীন ও পারলৌকিক সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আদব শুধু বাহ্যিক শৃঙ্খলা বা ভদ্রতা নয়, বরং এটি অন্তরের পবিত্রতা, নৈতিক উৎকর্ষ ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। 

- দুনিয়াতে: আদব মানুষকে সম্মানিত করে, সুন্দর চরিত্র গঠনে সাহায্য করে এবং সামাজিক সম্পর্কে শান্তি আনে। 

- আখিরাতে: এটি ঈমানের পরিপূর্ণতা আনে এবং জান্নাত লাভের পথ সুগম করে। 

সুতরাং, আদব হলো ঈমান ও আখলাক তথা নৈতিকতার বাস্তব প্রকাশ, যা ব্যক্তিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। 

প্রয়োগ: আমাদের উচিত কথায়, কাজে, আচরণে ও অভ্যাসে আদব-শিষ্টাচার মেনে চলা, যাতে দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই সুন্দর হয়।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha